জনপত্র ডেস্ক: বদলে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি। পরীক্ষা হবে একাদশ শ্রেণিতে একবার এবং দ্বাদশে একবার। দুই পরীক্ষার ফল যোগ করে হবে মূল রেজাল্ট। এই পদ্ধতি কার্যকর হবে ২০২৪ সাল থেকে। এছাড়া ২০২২ সালে প্রথম-দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ-সপ্তম এই ৪ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আসছে।
পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রায় ৫ বছর পরপর পাঠ্যক্রমে আসে পরিমার্জন। এ দেশেও কয়েক দশক ধরে চলছে শিক্ষাক্রমে নানা পরিবর্তন ও পরিমার্জন।
১৯৯৫ সালের পর, ২০১২। যে শিক্ষাক্রমের আলোকে ৯ম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ৩টি শাখায় ভাগ হয়ে যায়। তবে, সবশেষ ‘১৭ সালে শুরু হওয়া পরিকল্পনায় ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত একই পাঠ্যবইয়ের কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে শাখা ভাগ হবে উচ্চ মাধ্যমিকে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান জানান, এর ফলে ২০২৪ সাল থেকে বদলে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। বদলের কাজ চলছে এইচএসসি পরীক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতিরও। সেই ক্ষেত্রে বোর্ড পরীক্ষা হবে দুটি। একাদশ শ্রেণিতে একবার, দ্বাদশে একবার। দুই পরীক্ষার ফল যোগ করে হবে এইচএসসি’র রেজাল্ট। নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বেড়ে হবে ২দিন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ২০২২ সালে প্রথম-দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ-সপ্তম এই চার শ্রেণির পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আসছে। আর ২০২৪ সালে এসএসসিতে দেয়া হবে নতুন কারিকুলাম। এরপর উচ্চ মাধ্যমিকে পরিবর্তন আনা হবে।
শিক্ষাক্রম পরিবর্তন ও পরিমার্জনে শহর গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্য যেন আরো না বাড়ে সে বিষয়ে সর্তক করেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সহশিক্ষা পাঠকার্যক্রমের দৃষ্টি আর্কষণ করতে হবে। উপর থেকে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে না দিয়ে মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতার আলোকে পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে পরামর্শ তাদের।
নতুন সময়সীমা অনুসারে, ‘২৩ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে, ‘২৪ সালে দশম এবং ‘২৬ সালের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির নতুন বইয়ের কাজ শেষ হবে।