কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রথম আলোকে মুঠোফোনে এই তথ্য জানান।
আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছি।’
কোভ্যাক্সের আওতায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকার চালান শিগগির বাংলাদেশে আসবে বলেন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি পূরণের জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে টিকা চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সবাই টিকা দেবে বলে। কিন্তু হাতে আসছে না।
গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আছে জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনুরোধ জানালাম। পরে জানা গেল, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা কম বলে যে দেশগুলোতে টিকা দেওয়া হবে, তার অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। পরে অবশ্য আমরা জেনেছি আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে। এ ছাড়া কোভ্যাক্স থেকেও দেবে। তবে সেটা কবে তা বলেনি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ আশাবাদী।’
এদিকে গতকালই গুলশানে এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন দেশে যে টিকা দিচ্ছে, তাতে অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের উপহারের এ টিকা বাংলাদেশে আসবে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি চালু করা হয়। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা আনার বিষয়ে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাসে এসব টিকা আসার কথা ছিল। তবে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দুই চালানে মোট ৭০ লাখ টিকা পায় বাংলাদেশ। এর বাইরে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া যায় ৩৩ লাখ ডোজ টিকা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় গত মার্চে টিকা রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত। এতে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে। ইতিমধ্যে যাঁরা এই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। খবর প্রথম আলো।