আগেই জানা, দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তির পর বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় গিয়ে ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছেছে টাইগাররা। ক্রাইস্টচার্চে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের বর্তমান ঠিকানা, ‘শ্যাডো বাই পার্ক হোটেল।’
পুরো দল করোনার কারণে এখন নিউজিল্যান্ডে কোয়ারেন্টাইনে। বাংলাদেশের ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দলের জন্য কিউইরা কঠোর কোভিড-১৯ প্রটোকল প্রয়োগ করেছে। সেই প্রটোকলে প্রথম ছয়দিন হোটেল থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ক্রাইস্টচার্চে গিয়ে কেমন আছেন টাইগাররা, কোথায় আছেন? কতদিন কোয়ারেন্টাইনে কাটাতে হবে? কবে নাগাদ অনুশীলন করতে পারবেন টাইগাররা?
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় (নিউজিল্যান্ড সময় রাত ১১টা) ক্রাইস্টচার্চ থেকে জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন আলাপে সে সব কৌতূহলী প্রশ্নের জবাব দেন বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।
রাবিদ ইমাম জাগো নিউজকে বলেন, “এখন পুরো জাতীয় দলের বহর ক্রাইস্টচার্চের পাঁচতারকা ‘শ্যাডো বাই পার্ক’ হোটেলে অবস্থান করছে। ক্রিকেটারদের রুমের বাইরে রেস্টুরেন্ট, ডাইনিং, সুইমিংপুল এমনকি লবিতেও যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেখানে সব ক্রিকেটার আপাতত নিজ নিজ রুমে আটকা। কেউ কোথাও বের হতে পারছে না। পারার সুযোগও নেই।”
রাবিদ যোগ করেন, ‘ক্রিকেটারদের খাওয়া-দাওয়াও হোটেল রুমে। হোটেল স্টাফরা প্রত্যেক ক্রিকেটার, কোচিং, সাপোর্টিং স্টাফ- সবার ঘরের বাইরে খাবার রেখে যায়। মুখে মাস্ক পরে সেই খাবার নিতে রুম থেকে বের হতে হয়। মাস্ক খুলে বের হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।’
নিউজিল্যান্ড পৌঁছানোর পর আজ দ্বিতীয় রাত। ক্রিকেটারদের আর কত দিন, কত রাত হোটেলে রুমে এভাবে শুয়ে-বসে থাকতে হবে? কোয়ারেন্টাইনে কতদিন থাকতে হবে?
বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানিয়েছেন, ক্রাইস্টচার্চে পা রাখার অল্প কয়েক ঘণ্টা পর গতকাল বুধবারই কোভিড-১৯ এর একদফা টেস্ট হয়েছে টাইগার ক্রিকেটারদের। আগামী ৫ দিনে (নিউজিল্যান্ডে পা রাখার পর থেকে ষষ্ঠ দিনে) আরও দুই দফা করোনা টেস্ট দিতে হবে তামিম, মুশফিক, রিয়াদদের। মানে এক সপ্তাহ পুরো হওয়ার আগেই ৬ দিনে ৩বার করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক।
বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রতিটি ক্রিকেটারের ওই তিন টেস্টেই নেগেটিভ রিপোর্ট আসা জরুরি। ৬দিনে তিনবার নেগেটিভ হলেই কেবল সপ্তম দিনে হোটেলে জিমওয়ার্ক করার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা এবং অষ্টম দিনের মাথায় অনুশীলন করার সুযোগও মিলবে।
তবে পুরো দল এক সঙ্গে নয়, ৫ জন করে গ্রুপে ভাগ হয়ে প্র্যাকটিস করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। সেটাই শেষ কথা নয়। ১২তম দিবসে গিয়ে চতুর্থ বারেরমত করোনা টেস্ট দিতে হবে পুরো দলকে। সেই টেস্টে নেগেটিভ হলেই ১৪ নম্বর দিন থেকে ফ্রি হয়ে যাবে পুরো দল। অর্থাৎ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৯ মার্চ পুরো দল একসঙ্গে প্র্যাকটিস করতে পারবে।