মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্য সন্তানদের কথা

নিজস্ব প্রতিবেদক, এস এম শাহনূর – আখাউড়া ডট কম

আমাদের অহংকারের জায়গাটি কোথায়? ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর জন্য এমন একটি তথ্য দিচ্ছি, ৬৪টি জেলার মধ্যে যার একক কৃতিত্ব কেবল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। বলছি, মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্য সন্তানদের কথা।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিদান এবং তাদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রেরণা সৃষ্টির লক্ষে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের একটি প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী মে মাসের প্রথমদিকে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করেন। ১৬ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বীরত্বসূচক খেতাবের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। এ পরিকল্পে চার পর্যায়ের খেতাব প্রদানের বিধান ছিল: (ক) সর্বোচ্চ পদ, (খ) উচ্চ পদ, (গ) প্রশংসনীয় পদ, (ঘ) বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্র

মুক্তিযুদ্ধের কয়েকজন সেক্টর কমান্ডার ও সাব-সেক্টর কমান্ডারদের প্রকাশিত বইয়ে নিয়মিত বাহিনীর ২৪ হাজার ৮০০ এবং অনিয়মিত বাহিনীর ১ লাখ ৭ হাজারসহ মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৮০০ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নতুন করে প্রণীত তালিকায় ১ লাখ ৫৪ হাজার জনের নাম দেখা যায়। এই তালিকাটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে “লাল বই” নামে সংরক্ষিত আছে।

মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্য সন্তানদের কথা
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সভায় বীরত্বসূচক মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নতুন নামকরণ হয়:
  • সর্বোচ্চ পদমর্যাদার খেতাব -বীরশ্রেষ্ঠ (এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক ও সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। শহীদ সাতজন যোদ্ধা এই মরণোত্তর পদক লাভ করেন।)
  • উচ্চ পদমর্যাদার খেতাব –বীরউত্তম (এটি বীরত্ব প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ৬৮ জনের মধ্যে মরণোত্তর পদক পান মোট ২১ জন। বাকী ৪৭ জন জীবদ্দশায়ই গ্রহণ করেন এই সম্মাননা।)
  • প্রশংসনীয় পদমর্যাদার খেতাব -বীরবিক্রম (এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় উপাধি। ৮২ জন যোদ্ধাকে মরণোত্তর ভাবে এবং ৯৩ জনকে জীবিত অবস্থায় এই খেতাবে সম্মানিত করা হয়।)
  • বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্রের খেতাব -বীরপ্রতীক (এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় উপাধি। ৪২৬ জনকে এই খেতাবে সম্মানিত করা হয়।)

১৯৭২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৪৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বীরত্বসূচক খেতাবের জন্য নির্বাচন করা হয়। ১৯৭৩ সালের ২৬ মার্চ পূর্বের ৪৩ জনসহ মোট ৫৪৬ জন মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইউনিট, সেক্টর, ব্রিগেড থেকে পাওয়া খেতাবের জন্য সুপারিশসমূহ এয়ার ভাইস মার্শাল এ. কে খন্দকারের নেতৃত্বে একটি কমিটি দ্বারা নিরীক্ষা করা হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেতাব তালিকায় স্বাক্ষর করেন।

আরও পড়ুনঃ সুরস্রষ্টা গিরীন চক্রবর্তীর ৫৬তম প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা

১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বে নির্বাচিত সকল মুক্তিযোদ্ধার নামসহ মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নিম্নোক্ত খেতাব প্রদান করা হয়:

বীরশ্রেষ্ঠ – ৭জন
বীর উত্তম – ৬৮জন
বীর বিক্রম – ১৭৫জন
বীর প্রতীক – ৪২৬জন
১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাব প্রাপ্তদের পদক ও রিবন প্রদান করা হয়। ২০০১ সালের ৭ মার্চ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক পুরস্কার এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।

বাহিনীভিত্তিক খেতাবপ্রাপ্তদের সংখ্যা নিম্নরূপ:

সেনাবাহিনী ২৮৮জন
নৌবাহিনী ২৪জন
বিমান বাহিনীর ২১জন
বাংলাদেশ রাইফেল্স ১৪৯জন
পুলিশ ৫জন
মুজাহিদ/ আনসার ১৪জন
গণবাহিনী ১৭৫জন
খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন মহিলা। পাঁচজন অবাঙালিও বীরত্বসূচক খেতাব পান, যাদের মধ্যে একজন বিদেশী।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃতি সন্তান ৬২ জন। যা একক জেলা হিসেবে বিরল গৌরবের বিষয়।
১) বীরউত্তম ৪জন।
২) বীরবিক্রম ১৫জন।
৩) বীরপ্রতীক ৪৩জনসহ মোট ৬২জন। যা সারা দেশের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম গর্বের বিষয়।

মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্য সন্তানদের কথা
৪ জন বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ঠিকানা-

১. শহীদ সিপাহী মোঃ শাফিল মিয়া, রাজাপুর, আজমপুর, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২. শহীদ সিপাহী আনোয়ার হোসেন, পিতাঃ আব্দুল হামিদ, গোপীনাথপুর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩. শহীদ হাবিলদার নাসির উদ্দিন, পিতা লাল মিয়া, গাঙগিহাতা, উলচাপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৪. নায়েব সুবেদার হাবিবুর রহমান, পিতা আজিজুর রহমান, মৈন্দ, মজলিশপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

১৫ জন বীর বিক্রম মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্তদের নাম ও ঠিকানা-

০১. ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল হক ভূঁইয়া, পিতাঃ হাজী আপ্তাব উদ্দিন, রাধানগর, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০২. সৈয়দ আতাউর রহমান, রানীখার, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৩. গোলাম মোস্তফা খান, পিতাঃ গোলাম পানায়েত আলী খান, বিষ্ণুপুর, কুটি, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৪. সুবেদার এম এ মান্নান, পিতাঃ মিন্নাত আলী, জাজিয়ারা, কুটি- কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৫. সৈয়দ হাবিলদার গোলাম রসূল, পিতাঃ মোফাজ্জল মিয়া, চকচন্দ্রপুর, বিনাউটি, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৬. সুবেদার শামসুল হক, পিতাঃ মুন্সি সৈয়দ আলী, বলিবাড়ী, জিনোদপুর, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৭. কমান্ডো মোঃ শাহজাহান সিদ্দিকী, সাতমোড়া, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৮. আব্দুল মান্নান নোয়াগ্রাম, শ্যামগ্রাম, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৯. লে.জেনারেল (অব.) আবু সালেহ মোঃ নাছিম,পিতা মোঃ ইদ্রিস, চাপৈর,ভাতশালা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১০. অনারারী ক্যাপ্টেন আব্দুল জব্বার পাটোয়ারী, মিরাশানি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১১. আনারারী লে.জনাব আলী, নোয়াবাদী, মিরাশানি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১২. শহীদ ল্যান্স নায়েক দেলোয়ার হোসেন, পিতাঃ মুন্সি জায়েদ আলী, দড়ি বেলানগর, ছয়ফুল্লাকান্দি, বাঞ্ছারামপুর।
১৩. শহীদ সিপাহী আব্দুর রহিম, খেওরা, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৪. হাবিলদার আব্দুস সালাম, পিতাঃ মুন্সি আজগর আলী, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৫. নায়েব সুবেদার আব্দুল খায়ের, রাধানগর, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

৪৩ জন বীর প্রতীক মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্তদের নাম ও ঠিকানা-

০১. মেজর (অব.) জহিরুল হক খান, পিতাঃ সুলতান আহমেদ খান, সুহিলপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।
০২. আব্দুল মালেক (হাজী), পিতাঃ রমিজ উদ্দিন, দক্ষিণ পৈরতলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা।
০৩. নায়েব সুবেদার আবদুস সুবহান, চড়লহনিয়া, রামকৃষ্ণপুর, বাঞ্ছারামপুর।
০৪. নায়েব মোঃ ইয়াকুব আলী, খাড়েরা, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৫. খাইরুল ইসলাম, গোপীনাথপুর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৬. সুবেদার (অব.) আব্দুল আউয়াল, পিতাঃ মুন্সি মোহর আলী, মান্দারপুর, বাদৈর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
০৭. সুবেদার (অব.) সাহেব মিয়া,পিতাঃ আলতাফ আলী, শিমরাইল,মেহারি,কসবা।
০৮. শহিদ হাবিলদার আব্দুল লতিফ, মহেশপুর, বিটঘর, নবীনগর, ব্রাম্মণবাড়িয়া।
০৯. মোঃ দেলোয়ার হোসেন, দড়িভেলানগর, সয়ফুল্লাকান্দি, বাঞ্ছারামপুর।
১০. অধ্যক্ষ মোঃ এ এম ইসহাক, রাধানগর, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১১. ক্যাপ্টেন (অব.) জাহাঙ্গীর ওসমান ভূঁইয়া, পিতাঃ মোঃ মকবুলুর রহমান ভূইয়া, ছতুরা শরীফ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১২. অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন নীলখাদ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৩. ল্যান্স নায়েক মোঃ আবু সালেক, টানমান্দাইল, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৪. শহীদ মোঃ নওয়াব মিয়া, কুড়িপাইকা, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৫. শহীদ মোঃ আলমগীর কবির, নারায়ণপুর, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৬. শহীদ কাজী মোরশেদুল আলম, নিলাখাদ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৭. শহিদ আব্দুর রহমান,পিতাঃ মোঃ স্বপন মিয়া, টানপাড়া, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৮. সুবেদার (অব.) আবুল হাসেম খান, পিতাঃ বাদশা মিয়া, দেবগ্রাম, আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৯. হাবিলদা মোঃ আবদুল রশীদ, পিতাঃ সুন্দর আলী, ছতুরা শরীফ, তন্তর, আখাউড়া, ব্রামণবাড়িয়া।
২০. আব্দুল জব্বার, মোগড়া, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২১. হাবিলদার মোঃ জহিরুল হক ভূইয়া, পিতাঃ আবুল হাসেম ভূইয়া, রানিখার, ধরখার, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২২. শহীদুল হক ভূইয়া, পিতাঃ সুন্দর আলী ভূইয়া, তন্তর, ধরখার, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

২৩. সুবেদার মঙ্গল মিয়া, পিতাঃ আনোয়ার আলী, ভাটামাথা, ছতুরা শরিফ আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২৪. ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, মনিয়ন্দ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২৫. মর্তুজ আলী, পিতাঃ কালু মিয়া, দক্ষিণ পৈরতলা, ব্রাম্মনবাড়িয়া সদর।
২৬. মোঃ শামসুদ্দীন, বিষ্ণুপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২৭. ক্যাপ্টেন জনাব আলী (অব.) নোয়াবাদী, সিঙ্গারবিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২৮. নায়েক মোঃ ছায়েদুল হক (অব.) পিতাঃ মমিনুল হক, ঘাটিয়ারা, বাসুদেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২৯. সুবেদার মেজর মোঃ হাফিজ, পিতাঃ মুন্সি রহমতউল্লাহ, রতনপুর, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩০. নায়েব সুবেদার মোঃ হোসেন, মোগড়া, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩১. অনারারী ক্যাপ্টেন মিজানুর রহমান, পিতাঃ মোঃ আব্দুল খালেক খান, বাউচাইল, সাতমোড়া, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩২. নায়েক শহীদুল্লাহ, পিতাঃ আব্দুল জলিল, ফরদাবাদ, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩৩. শহীদ সিপাহী শামসুল হক, হাতুরাবাড়ি, কসবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩৪. শহীদ সিপাহী গুল মোঃ ভূইয়া,সার কারখান, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩৫. শহীদ সোয়াব মিয়া, কুড়িপাইক, হিরাপুর, আখাউড়া , ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩৬. নায়েব সুবেদার আবুল হাশেম, পিতাঃ সুরুজ মিয়া,দক্ষিণ শাহবাজপুর, নবীনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩৭. আনোয়ার হোসেন, পিতাঃ মুন্সি ছাইমউদ্দিন, সাহাপুর, সুলতানপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩৮. ফোরকান উদ্দিন আহম্মেদ,পিতাঃ আব্দুস সাত্তার মিয়া,তুলাকান্দ, ছলিমগঞ্জ, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩৯. নুরুল ইসলাম, পিতাঃ মুন্সি ওয়ালি মিয়া, বাঙ্গরা, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৪০. লে.কর্নেল মাহাবুব-উল-আলম,পিতা মোঃ আবু মুসা, আহমেদপুর পাক হাজিপুর, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৪১. নায়েব সুবেদার মোঃ আবু তাহের, পিতাঃ আফছার উদ্দিন, কুড়াবাড়ি, মাসুদেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৪২. নায়েক তাজুল ইসলাম, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৪৩. সিপাহী বাচ্চু মিয়া, পিতা-মোঃ সোনা মিয়া, আড়াইসিধ, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে মোট ২৬৯ জনকে প্রধান সেনাপতির প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। এই তালিকা ২৫শে মার্চ ১৯৭৩ সালে পত্রিকায় প্রচার করা হয়। প্রশংসাপত্র পাবার যোগ্যতা সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে এ তালিকায়ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাম ছিল।

তথ্যঋণ:
[১] মুক্তিবার্তা (লাল)
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত।
[২] মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া।। জয়দুল হোসেন
[৩] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, ডিসেম্বর ১,২০০৫(১০৬৪৭) ১ম খন্ড ;
*গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট।
[৪] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা,
জুলাই ২৬,২০০৬(৭২৭৯) ২য় খন্ড ;
*গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট।

লেখক : এস এম শাহনূর
কবি, মুক্তিযুদ্ধ, লোকজন সংস্কৃতি ও ইতিহাস গবেষক।

Related Posts

About The Author

Add Comment