কুমিল্লার লালমাইয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতা ও গৃহবধূকে দুই দিন আটকে রেখে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ ওই গৃহবধূ দাবি করেন, টাকার জন্য এসেছিলেন ওই তরুণ। তাঁদের দুজনকে একই ঘরে দুই দিন আটকে রেখে মারধর করেছেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তরুণের সঙ্গে ওই গৃহবধূকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁদের পুলিশে হেফাজতে রাখার খবর পাওয়া গেছে। তরুণটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী দেশের বাইরে থাকেন। তরুণটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। গত সোমবার গভীর রাতে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের ওই নেতা। এরপর থেকে সেখানে খাটের নিচে বিছানা পেতে অবস্থান করছিলেন। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বিষয়টি টের পান। তল্লাশির একপর্যায়ে গৃহবধূর খাটের নিচে তরুণকে দেখেন। এ অবস্থায় তাঁকে আটক করে পিটুনি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁদের একই ঘরে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে লালমাই থানা-পুলিশের একটি দল গৃহবধূ ও ওই নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওই গৃহবধূর ভাষ্য, তাঁর এক বছর বয়সী কন্যাসন্তান আছে। ছাত্রলীগ নেতা তাঁর কাছে টাকার জন্য এসেছিলেন। এলাকাবাসী তাঁকে অনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিহীন অভিযোগে দুই দিন আটক রেখে পুলিশে দিয়েছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘তাঁরা আপাতত পুলিশের হেফাজতে আছেন। বিষয়টি নিয়ে কী করা যায়, আমরা দেখছি।’