দলীয় প্রতীক ছাড়া এবং ইভিএমে প্রথম বারের মতো ভোট সম্পন্ন হল আইনমন্ত্রীর এলাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ সাইফুল আলম – আখাউড়া ডট কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছিল টান টান উত্তেজনা। মূলত কারন ছিল ২টি। প্রথমত এবারের নির্বাচনে ছিল না কোন দলীয় প্রতীক। আর দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল এবার কসবা উপজেলার ৯নং কায়েমপুর ইউনিয়নে ইভিএমে প্রথম বারের মতো ভোট সম্পন্ন হয়।

আগেই ঘোষণা ছিল সুষ্ঠু নির্বাচন বা ‘ফেয়ার’ নির্বাচনের জন্য কোনো প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়নি। কসবা উপজেলার ৯নং কায়েমপুর ইউনিয়ন হল আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের ইউনিয়ন। তাই সবার নজর এদিকে একটু বেশীই ছিল। কারন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ৯ নং কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ছাড়াই ভোট হয়েছে।

এই প্রথম ইভিএম-এর মাধ্যমে কোনো রকম সহিংসতা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ভোটাররা। তবে ইভিএম-এ প্রথম ভোট হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান প্রিজাইডিং কর্মকর্তাও।

এদিন আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছে স্থানীয় জনগন। গত সোমবার ৩১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, কসবা উপজেলার ৯ নং কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছন ইখতিয়ার আলম রনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ইয়াকুব আলী ভুইয়া পেয়েছেন অটোরিক্সা মার্কায় ৫ হাজার ৩০৭ ভোট। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী ভুইয়ার থেকে ৫ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারসের প্রার্থী ইখতিয়ার আলম রনি।

এক সাক্ষাৎকারে ইকতিয়ার আলম রনি বলেন, আমার এলাকায় আইনমন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতায় ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এজন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সেই সংগে আমাকে যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। গুরু দায়িত্ব নিয়ে আমি আমার কাজ করে যাবো।

সাবেক চেয়ারম্যান (অটোরিক্সা প্রতীক) ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া বলেন, অনেক ভোটার ইভিএম মেশিনে ভোট হওয়ার কারণে ভোট দিতে পারেনি। তাই এবার আমি নির্বাচিত হতে পারিনি। আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। তিনি বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের পাশে ছিলাম এবং আছি।

আরও পড়ুনঃ আশুগঞ্জ উপজেলার নামকরণের ইতিকথা

নির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইউএনও আরিফুল হক মৃদুল বলেন, আমরা এলাকার সাধারণ মানুষকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। ৯নং কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ১৫ জন। এরমধ্যে ভোট কাস্ট হয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৯ ভোট।

Related Posts

About The Author