নিজস্ব প্রতিবেদক, এস এম শাহনূর – আখাউড়া ডট কম
পৃথিবীর মানচিত্রে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের বিনিময়ে অর্জিত রক্তস্নাত এক দেশ- বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ২ ডিসেম্বর ১৯৭১, রণাঙ্গন ছেড়ে পিছু হটতে থাকে হানাদার বাহিনী। মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতীয় মিত্রবাহিনী যুক্ত হবার পর পাকবাহিনী দিনদিন আরও কোনঠাসা হয়ে পড়ে। ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে যৌথবাহিনীর নিকট পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কিছুকিছু জায়গা তখনও হানাদার মুক্ত হয়নি। আত্মসমর্পণের ৫ দিন পর ২২ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে শ্যামল বাংলা থেকে চিরতরে উৎখাত হয় পাকবাহিনী। ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১, বাঞ্জারামপুর হানাদার মুক্ত হয়। উদিত হয় বাংলাদেশের স্বর্ণালি মানচিত্র খচিত গাঢ় সবুজের মধ্যে রক্তিম সূর্য সম্বলিত ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত বাংলাদেশের নতুন পতাকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস তীরবর্তী বাঞ্ছারামপুরঃ
জেলার মেঘনা-তিতাসের শাখা-প্রশাখা দ্বারা বেষ্টিত এক সমৃদ্ধ জনপদের নাম বাঞ্ছারামপুর। বাঞ্ছারামপুরের গর্ব ও ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে তিতাস নদী। তিতাসকে বাদ দিয়ে বাঞ্ছারামপুর- কল্পনাই করা যায় না। ’৭১ এর শেষ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এখানে। ১৯৭১ সালে তিতাসের কাজলকালো জল শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল, ভরে গিয়েছিল লাশ আর লাশে। তিতাসের তীরবর্তী বাঞ্ছারামপুর থানা ছিল পাকিস্তানিদের এক দুর্ভেদ্য দূর্গ। থানা সংলগ্ন নদীর পাড়ে ছিল পাকিস্তানিদের তৈরি কংক্রিটের শক্ত পাকা বাঙ্কার। এখানে বিমান আক্রমণ ছাড়া পাকিস্তানিদের কাবু করার আর কোন পথ ছিল না। তাই মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের কৌশল পাল্টিয়েছে বারবার। তাঁরা উজানচর লঞ্চঘাটের পশ্চিম দিকে তিতাস নদীর বাঁকে ৩২ হাজার ভোল্টেজ-এর বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন নদীর দিকে কাত করে ফেলে দেয়। এতে পাকিস্তানিদের বাঞ্ছারামপুর থানায় যাওয়া আসার একমাত্র নদীপথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। টহলরত মুক্তিযোদ্ধাদের সামান্য অবহেলার কারণে ৫ অক্টোবর ’৭১ মঙ্গলবার উজানচরে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের পিছন দিক দিয়ে অতর্কিতে একযোগে এলএমজি, রকেটল্যাঞ্চার নিয়ে আক্রমণ করে পাক বাহিনী। দুপক্ষের মুখোমুখি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রকম্পিত হয়ে উঠে হোমনা-বাঞ্ছারামপুর এলাকা।
“১৯৭১ সালে উপজেলার মিরপুরে ১০ সেপ্টেম্বর, আসাদনগরে ১৫ ও ১৮ সেপ্টেম্বর, ঝগড়ার চরে ২৭ নভেম্বর, দুর্গারামপুরে ১২ ডিসেম্বর এবং দশদোনা গ্রামে ১৩ ডিসেম্বর পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তাছাড়া ৫ আগষ্ট উজানচর কৃষ্ণনগর গ্রামে গণহত্যা সংঘটিত হয়। এ উপজেলায় বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৫ জন।” [৪]
আরও পড়ুনঃ সুরস্রষ্টা গিরীন চক্রবর্তীর ৫৬তম প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা
- বাঞ্ছারামপুরে নিভৃত পল্লী রূপসদী জমিদার বাড়িটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের হেডকোয়ার্টার। “স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একমাত্র বৈধ ট্রেনিং ক্যাম্প এটি। ক্যাপ্টেন আইন উদ্দিনের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং করানো হয়েছে। ৩৫০ মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।” [৫]
- রূপসদী ও বড় ভেনানগর গণহত্যা:
একাত্তরের ২ জুন, উপজেলার রূপসদী ও বড় ভেনানগর গ্রামে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পাকবাহিনী ১৩ জন নিরীহ লোককে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
- বাঞ্ছারামপুর গণহত্যা:
একাত্তরের ১৭ জুলাই, ঢাকার সূত্রাপুর ও মুন্সিগঞ্জের নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৭৫ জন দুটো লঞ্চে করে আগরতলা যাওয়ার পথে বাঞ্ছারামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার সহ বহু মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়।হোমনা থেকে পাকসেনাদের ডেকে এনে নিরীহ বাঙালিদের তাদের হাতে তুলে দেয়। পাকিরা নারীদের শারীরিক নির্যাতন করে ও সকলকে হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
- কৃষ্ণনগর গণহত্যা:
উজান চরের কৃষ্ণনগর গ্রাম, ৫ অক্টোর পাকিস্তানি বাহিনী আকস্মিক হামলা চালিয়ে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৯ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে।
- দুর্গারামপুর গণহত্যা:
বাঞ্ছারামপুর থানা ছিল পাকহানাদার বাহিনীর ক্যাম্প। এখান থেকেই এরা তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতো। ১৯৭১ সালের ১২ডিসেম্বর রবিবার পাক সৈন্যরা সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দুর্গারামপুর গ্রামের ১জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২জনকে হত্যা করে।
- দশদোনা গণহত্যা:
পরদিন ১৩ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৬ঘটিকার সময় হানাদার বাহিনী প্রথমে বাঞ্ছারামপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ঘরে আগুন দেয়। অতঃপর দশদোনা গ্রামে গিয়ে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও একটার পর একটা বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতে থাকে। সোনারামপুর, দশআনী ক্যাম্প ও দরিয়াদৌলত গ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা ৩দিক হতে আক্রমণ করলে হায়েনারা পিছু হটে থানায় চলে যায়। সেদিন মহিলা ও ২ বছরের শিশুসহ দশদোনা গ্রামের ১৫জনকে হত্যা করা হয়।
১৪ ডিসেম্বর ’৭১ মঙ্গলবার শীতের ঝিঁঝিঁ ডাকা নিঝুম রাতের শেষ প্রহরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের পালানোর খবর পায়। মুক্তিযোদ্ধারা ১০ মাইল দূর কমলপুর গোদারা ঘাট (খেয়াঘাট) দিয়ে তিতাস নদী পার হয়ে পলায়নপর পাকিস্তানি সৈন্যদের ধাওয়া করে ঝগড়ারচরের দিকে নিয়ে যায়। সেদিন পলায়নপর পাকিস্তানি সৈন্যরা ধাওয়া খেয়ে তিতাসের পার ঘেষে ঘাঘটিয়া গ্রামে একটি পাকা মসজিদে শক্ত অবস্থান নেয়। তিতাস নদী অতিক্রম করার সময় গুলিতে বেশ কিছু পাকিস্তানী সৈন্য মারা যায় এবং অনেকে আহত হয়। পাকিস্তানীদের আশ্রয় নেওয়া পাকা মসজিদে ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে ২২ ডিসেম্বর বুধবার পর্যন্ত এই নয় দিন ঘেরাও করে রাখা হয়। এই নয়দিন প্রচন্ড গোলাগুলির পর ২২ ডিসেম্বর বুধবার পড়ন্ত বিকেলে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৫টি রাশিয়ান উভচর ট্যাঙ্ক নিয়ে তিতাস নদী দিয়ে চালিয়ে এসে কুমিরের মত ডাঙ্গায় উঠে পড়ে। তিন পক্ষের প্রচন্ড গোলাগুলির মধ্যে তারা ট্যাঙ্ক নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। মিত্র বাহিনীর যারা ট্যাঙ্কের বাইরে ছিল তারা ট্যাঙ্কের আড়ালে আড়ালে এবং ক্রলিং করে গুলি করতে করতে তিতাস নদীর তীর ঘেষে এগুতে থাকে। প্রচন্ড গোলাবিনিময়ের পর অবশেষে প্রথমে রাজাকাররা দুই হাতে অস্ত্র উঁচু করে সারেন্ডার করতে থাকে।
বাঞ্ছারামপুরের ২২ ডিসেম্বর ’৭১ বুধবারের যুদ্ধই ছিল বাংলাদেশের শেষ যুদ্ধ। মিত্রবাহিনী ভারতীয় সৈন্যরা তাদের ট্যাঙ্ক বহরের সাথে আত্মসমর্পণকারী বন্দী জানোয়াররূপী পাকিস্তানি সৈন্য এবং নিহত-আহতদের নিয়ে কনকনে শীতের মধ্যে রাতের আঁধারেই নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টের দিকে রওনা দেয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিরক্ষার্থে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে মাওলাগঞ্জ বাজার মাঠ সংলগ্ন ৭১ ফুট উঁচু মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্র, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের কয়েকজন গবেষক ও গণপূর্ত বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তালিকামতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৩৫টি বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। গণকবর রয়েছে ১৮০টি। জেলায় গণহত্যা হয়েছে ৩৪৩টি। (তবে একজন গবেষক বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বধ্যভূমির সংখ্যা ৪২টি।)
৩৫টি বধ্যভূমির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ৯টি, আখাউড়ায় ৫টি, আশুগঞ্জে ৪টি, সরাইলে ৪টি, কসবায় ৪টি, নবীনগরে ৪টি, বাঞ্ছারামপুরে ৪টি ও নাসিরনগর উপজেলায় ১টি বধ্যভূমি রয়েছে।
সংঘটিত হওয়া ৩৪৩টি গণহত্যার মধ্যে সদরে ৭৮টি, কসবায় ৫৬টি, নাসিরনগরে ৩৯টি, নবীনগরে ৩৯টি, আখাউড়ায় ২৩টি, বাঞ্ছারামপুরে ২২টি ও বিজয়নগরে ১৯টি গণহত্যার ঘটনা ঘটে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৪টি বধ্যভূমি হল,
(১) উজানচর নৌ-ঘাট বধ্যভূমি।
(২) কৃষ্ণনগর বধ্যভূমি।
(৩) বড় ভেনানগর বধ্যভূমি।
(৪) বাঞ্ছারামপুর থানা বধ্যভূমি।
একটি প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি ও সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। ৯টি উপজেলার মধ্যে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ব্যতীত ৮টি উপজেলায় প্রতিবছর পৃথক পৃথক সময়ে হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হচ্ছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এতসব থাকলেও বাঞ্ছারামপুর মুক্ত দিবস কেউ পালন করেনা কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর আমি লেখক দেবার কথা নয়। দিতেও চাই না। তবে ‘৭১রে ২নং সেক্টরের অধীনে বাঞ্ছারামপুর থানার চৌহদ্দির ভিতর বারবার পাকবাহিনীর সাথে জীবন বাজি রেখে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছে এমন কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা হয়েছে। এতদ বিষয়ে তাঁদের তীব্র ক্ষোভ ও মনোকষ্টের কথা জেনেছি।
বাঞ্ছারামপুর মুক্ত দিবস কবে হবে তা নিয়েও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে। রেসকোর্স ময়দানে পাকবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর মধ্যে যেদিন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় সেদিনও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার অন্তর্গত বাঞ্ছারামপুর থানার মুক্তিযোদ্ধারা তিতাস নদীর তীরবর্তী স্থানে পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল।
স্মরণীয় বিষয় হচ্ছে,পলায়নপর পাকসেনারা ১৪ ডিসেম্বর ভোরে বাঞ্ছারামপুর থানা ক্যাম্প ত্যাগ করে। (তাই ১৪ ডিসেম্বর বাঞ্ছারামপুর মুক্ত দিবস পালন করা যেতে পারে।) পাকবাহিনী বাঞ্ছারামপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের তাড়া খেয়ে তিতাস পাড় হয়ে ঘাঘুটিয়া গ্রামের মসজিদের ভিতর শক্ত অবস্থান নেয়। তখন বাঞ্ছারামপুর ও আশপাশের মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা পাক সেনারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রতিদিনই উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাবিনিময় হয়। ২২ ডিসেম্বর শেষ বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা, যৌথবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহরের কাছে শোচনীয় ভাবে আত্মসমর্পণ করে পাকসেনারা। পরদিন ২৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে মুক্তিযোদ্ধারা জয়বাংলা ধ্বনিতে আনন্দ উল্লাস করে, সাধারণ মানুষ (কারো কারো হাতে পাতাকা) নিজনিজ গ্রামে ঢুকতে শুরু করে। তাই ২৩ ডিসেম্বরও বাঞ্ছারামপুর মুক্ত দিবস পালন করা যেতে পারে।
বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।
তথ্য ঋণ:
[১] সংগ্রামের নোটবুক
[ ২] মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -জয়দুল হোসেন
[৩] মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।। অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
[৪] বাংলাপিডিয়া
[৫] সমকাল/দেয়ালে অবরুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং ক্যাম্প
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২১ ।
[৬] মো. আবদুল ওয়াহিদ । ২ নং সেক্টর বাঞ্ছারামপুর এ যুদ্ধ করেছেন।। (৭১এর শেষ যুদ্ধ ও বাঞ্ছারামপুর মুক্ত হওয়ার ইতিহাস- প্রবন্ধ)
[৭] মুক্তিযুদ্ধ এবং আশুগঞ্জ -অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু।
লেখক: এস এম শাহনূর
কবি, মুক্তিযুদ্ধ, লোকজ সংস্কৃতি ও ইতিহাস গবেষক।