ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ব্যালট পেপারে প্রতীক মুদ্রণে ভুল ধরা পড়ার ১০ দিন পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশকে বদলি করা হয়েছে।
অমিত কুমার দাশকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। আর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে কসবায় বদলি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপনে ৯ মের মধ্যে অমিত কুমারকে কর্মস্থল থেকে মুক্ত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ১০ মে তিনি তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন। তবে চিঠিতে বদলির কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
এদিকে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন ২৬ মে অনুষ্ঠিত হবে। আজ নির্বাচন কমিশনের এক আদেশে কসবার কুটি ইউপি চেয়ারম্যান পদের স্থগিতকৃত নির্বাচনের এ তারিখ ঘোষনা করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মুন্সিগঞ্জ উপজেলা সদরে বদলি করা হয়েছে। আজ বদলির আদেশ কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল কসবা উপজেলার কুটি ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। সেখানে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রার্থী ছিলেন। সকাল আটটা থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ইউসুফ আহম্মেদ নির্বাচন চলাকালে বেলা দেড়টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, নির্বাচনে তাঁকে অটোরিকশা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ব্যালট পেপারে মুদ্রিত হয়েছে রিকশা প্রতীক।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই আবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠান। ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কুটি ইউপির শুধু চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করেন। এতে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যালট পেপারে ভুল প্রতীক মুদ্রিত হওয়ায় কসবার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের চলমান নির্বাচন স্থগিত করা হলো।